পুরো পৃথিবী তে যদি আগুন লেগে যাই সব কিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, বা জলে ডুবে যায়, অথবা প্রচন্ড পারমাণবিক বিস্ফোরণে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় বা পৃথিবী সূর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পৃথিবী প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে বরফে ঢেকে যায় ও বায়ু ও তরল বা কঠিন হয়ে যায় তবুও কি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী তে প্রাণ থাকবে? উত্তর তা হলো হা, টার্ডিগ্রেড হলো এমন একটি প্রাণী যে তখন বেঁচে থাকবে. টার্ডিগ্রেড যেটি ওয়াটার বেয়ার বা জলের ভল্লুক নাম বেশি পরিচিত হলো ০.৫ মিলিমিটার এর সুও পোকার মতো দেখতে একটি প্রাণী যার মুখের সাথে কিছুটা জলহস্তীর সাদৃস্সো রয়েছে, এদের ৪ জোড়া পা রয়েছে ও প্রত্যেক পায়ে ৪ থেকে ৮ তা ডিস্ক রয়েছে। যে শেষের সেদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীর বুকে থাকবে.
এই প্রাণীটিকে প্রথম খুঁজে পান জার্মানের জুলোজিস্ট জোহান অগাস্ট এফ্রেইম গেঁজে, ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে, তার প্রায় ৩ বছর বাদে ইতালির বায়োলজিস্ট লজ্জারও স্প্ল্যানজানি এর নাম দেন টার্ডিগ্রেড , টার্ডিগ্রেড এর অর্থ হলো যারা খুব ধীরে চলে.
এন্টার্টিকা যাওয়ার পথে একদল জাপানি বিজ্ঞানী এই প্রাণীটি পান ও -২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেটে তাপমাত্রায় এগুলিকে সংগ্রহ করেন , প্রায় ৩০ বছর পর যখন এগুলো নিয়া পরীক্ষা করা হয় তখন এগুলো আবার বেঁচে ওঠে ও ওদের ডিম্ ফুটে ছানা টার্ডিগ্রেড এর ও জন্ম হয়. যা দেখে বিজ্ঞানী রা খুবই অবাক হন. এবং শুরু হয় জোরদার পরীক্ষা নিরীক্ষা.
জেনে নিই এদের ব্যাপারে কিছু অসাধারণ তথ্য।
এদের তাপমাত্রা সিহ্হ করার ক্ষমতা:
এই প্রাণীটি ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে , আবার -২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেটে তাপমাত্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে. আবার কিছু সময়ের এর জন্য -২৭২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে.
এদের চাপ সোহান ক্ষমতা
এরা শুন্য চাপ অর্থাৎ মহাকাশ ও 6,000 অটোমোশফেয়ার্স চাপ অর্থাৎ মারিয়ানা একহাত যা হলো সমুদ্রের সবথেকে গভীরতম জায়গা তার থেকেও ৬ গুন্ বেশি চাপ সহ্য করতে পারে.
জল ছাড়া বেঁচে থাকার ক্ষমতা,
এরা জল ছাড়াও প্রায় ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে. অর্থাৎ সম্পূর্ণ শুস্ক পরিবেশেও ের ১০ বছর বেঁচে থাকবে.
খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকার ক্ষমতা,
এরা খাদ্য ছাড়াও প্রায় ৩০ বছর বেঁচে থাকতে পারে।
পারমাণবিক বিকিরণ সহ্য করার ক্ষমতা,
এরা সাধারণ প্রাণীর থেকে প্রায় ১০০০ গুন্ বেশি পারমনোবিক বিকিরণ সহ্য করতে পারে.
এছাড়াও এরা প্রচন্ড দূষিত পরিবেশে, ও প্রচন্ড উচ্চতা ও গভীরতম জায়গা ও কিছু সময় এর জন্য বাতাস বিহীন জায়গা তেওঁ থাকতে পারে.
এর থেকে বোঝা যাই আগুনে পুড়িয়ে, জলে ডুবিয়া, না খেতে দিয়ে, না বাতাস দিয়ে, পারমাণবিক বোমা এর রেডিয়েশন ও মারা যাই না.
অতএব এই ওয়াটার বেয়ার বা জলভল্লুক বা টার্ডিগ্রেড প্রাণীটি মহাধ্বংসের সেই শেষের আগের দিন পর্যন্ত পৃথীর বুকে এর অস্তিস্ত বিদ্যমান রাখবে...