A places of mysterious stories in Bengali language for mainly the people of Bangladesh and West Bengal

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

টার্ডিগ্রেড বা ওয়াটার বেয়ার | Water Bear or Tardigred in Bengali


পুরো পৃথিবী তে যদি আগুন লেগে যাই সব কিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, বা জলে ডুবে যায়, অথবা প্রচন্ড পারমাণবিক বিস্ফোরণে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় বা পৃথিবী সূর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পৃথিবী প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে বরফে ঢেকে যায় ও বায়ু ও তরল বা কঠিন হয়ে যায় তবুও কি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী তে প্রাণ থাকবে? উত্তর তা হলো হা, টার্ডিগ্রেড হলো এমন একটি প্রাণী যে তখন বেঁচে থাকবে. টার্ডিগ্রেড যেটি ওয়াটার বেয়ার বা জলের ভল্লুক নাম বেশি পরিচিত হলো ০.৫ মিলিমিটার এর সুও পোকার মতো দেখতে একটি প্রাণী যার মুখের সাথে কিছুটা জলহস্তীর সাদৃস্সো রয়েছে, এদের ৪ জোড়া পা রয়েছে ও প্রত্যেক পায়ে ৪ থেকে ৮ তা ডিস্ক রয়েছে। যে শেষের সেদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীর বুকে থাকবে.

এই প্রাণীটিকে প্রথম খুঁজে পান জার্মানের জুলোজিস্ট জোহান অগাস্ট এফ্রেইম গেঁজে, ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে, তার প্রায় ৩ বছর বাদে ইতালির বায়োলজিস্ট লজ্জারও স্প্ল্যানজানি এর নাম দেন টার্ডিগ্রেড , টার্ডিগ্রেড এর অর্থ হলো যারা খুব ধীরে চলে.

এন্টার্টিকা যাওয়ার পথে একদল জাপানি বিজ্ঞানী এই প্রাণীটি পান ও -২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেটে তাপমাত্রায় এগুলিকে সংগ্রহ করেন , প্রায় ৩০ বছর পর যখন এগুলো নিয়া পরীক্ষা করা হয় তখন এগুলো আবার বেঁচে ওঠে ও ওদের ডিম্ ফুটে ছানা টার্ডিগ্রেড এর ও জন্ম হয়. যা দেখে বিজ্ঞানী রা খুবই অবাক হন. এবং শুরু হয় জোরদার পরীক্ষা নিরীক্ষা.

জেনে নিই এদের ব্যাপারে কিছু অসাধারণ তথ্য।

এদের তাপমাত্রা সিহ্হ করার ক্ষমতা:
এই প্রাণীটি ১৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে , আবার -২০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেটে তাপমাত্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে. আবার কিছু সময়ের এর জন্য -২৭২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে.

এদের চাপ সোহান ক্ষমতা
এরা শুন্য চাপ অর্থাৎ মহাকাশ ও 6,000 অটোমোশফেয়ার্স চাপ অর্থাৎ মারিয়ানা একহাত যা হলো সমুদ্রের সবথেকে গভীরতম জায়গা তার থেকেও ৬ গুন্ বেশি চাপ সহ্য করতে পারে.

জল ছাড়া বেঁচে থাকার ক্ষমতা,
এরা জল ছাড়াও প্রায় ১০ বছর বেঁচে থাকতে পারে. অর্থাৎ সম্পূর্ণ শুস্ক পরিবেশেও ের ১০ বছর বেঁচে থাকবে.

খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকার ক্ষমতা,
এরা খাদ্য ছাড়াও প্রায় ৩০ বছর বেঁচে থাকতে পারে।

পারমাণবিক বিকিরণ সহ্য করার ক্ষমতা,
এরা সাধারণ প্রাণীর থেকে প্রায় ১০০০ গুন্ বেশি পারমনোবিক বিকিরণ সহ্য করতে পারে.

এছাড়াও এরা প্রচন্ড দূষিত পরিবেশে, ও প্রচন্ড উচ্চতা ও গভীরতম জায়গা ও কিছু সময় এর জন্য বাতাস বিহীন জায়গা তেওঁ থাকতে পারে.

এর থেকে বোঝা যাই আগুনে পুড়িয়ে, জলে ডুবিয়া, না খেতে দিয়ে, না বাতাস দিয়ে, পারমাণবিক বোমা এর রেডিয়েশন ও মারা যাই না.

অতএব এই ওয়াটার বেয়ার বা জলভল্লুক বা টার্ডিগ্রেড প্রাণীটি মহাধ্বংসের সেই শেষের আগের দিন পর্যন্ত পৃথীর বুকে এর অস্তিস্ত বিদ্যমান রাখবে...
Share:

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অজানা অমীমাংসিত রহস্য | Unsolved mysteries of the Bermuda Triangle in Bangla




বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে হলো তিনটি জায়গা মিয়ামি, সানজুয়ান (পুয়ের্তো রিকো), এবং বারমুডা মধ্যে আঁকা কাল্পনিক রেখা দ্বারা সংযুক্ত জলাভূমি এলাকা, এটা শুধু একটা জলাভূমিই নয় এর মধ্যে ঘিরে রয়েছে মহা রহস্য, আসুন আমরা দেখেনি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর কিছু রহস্য.

১০. 1492 খ্রিস্টাব্দে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের প্রথম যাত্রাপথ
১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের প্রথম যাত্রাপথে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অদ্ভুত ঘটনার উল্লেখ করে যেমন, কম্পাসগুলি কাজ করে না, সমুদ্র হতে আলোক বিচ্ছুরণ হয় এবং আকাশ থেকে বস্তু খন্ড পতিত হতে থাকে।

৭. ১৮৪০ - রোজালি
ফরাসি জাহাজ 'রোসালি' অদৃশ্য হয়ে যায় এবং পরবর্তী কালে এটি ক্র্যাশের কোন লক্ষণ ছাড়াই এবং অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

৬. 1872 - মেরি সেলেস্তে
'মেরি সেলেস্তে' 10-সদস্যের ক্রু নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়, যাদের কাওকে পাওয়া যায়নি।

৫. 1902 - ফ্রায়া
জার্মান নৌকা 'ফ্রায়া' কিউবা থেকে ছেড়ে একদিনের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এবং তার পর এটিকে পাওয়া যায় যেখান থেকে এটি যাত্রা করে কিন্তু এর কোনো ক্রু মেম্বার কে পাওয়া যায়নি।

৪. 1918 - সাইক্লোপস
জাহাজটি 309 জন যাত্রী নিয়ে কোনও সতর্কবাণী ছাড়াই শান্ত সমুদ্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

৩. 1945 - ফ্লাইট 19
14 জন লোক নিয়ে উধাও হয়ে যায় কোনো নিশানা না রেখেই। এই ফ্লাইট ১৯ এ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কে পপুলার লিস্ট এ নিয়া এসেছে.

২. 1967 - উইচক্রাফট
বিলাসবহুল ক্রুজ মাছ ধরার নৌকা 'উইচক্রাফট', মাত্র 1600 মি (প্রায় এক মাইল), মিয়ামির উপকূল থেকে দূরেছিল যখন এটি সাহায্যের জন্য কল করার পরে তার পুরো ক্রু সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

১. 1999 - জেনেসিস
এটি একটি বড়ো জাহাজ , সাও ভিসেন্টে ছেড়ে যাওয়ার পর বারমুডা দ্বীপে জাহাজটি বন্ধ হয়ে যায় ও হারিয়ে যায়, এর পণ্য সামগ্রীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল জল ট্যাংক, বোর্ড, কংক্রিট এবং ইট

এই সমস্ত রহস্য গুলির পেছনে অনেক দার্শনিক ও বিজ্ঞানী অনেক মতবাদ দিয়াছেন, যেমন ওই অঞ্চল এর প্রবল অভিকর্ষজ শক্তি, অথবা চৌম্বকীয় শক্তি। আবার অনেকে বলেছেন ওই অঞ্চল এর নিচে অবস্থিত আগুনের গলা আবার কেও কেও মনে করে থাকেন যে এগুলো এলিয়েন বা ভিনগ্রহী দেড় কান্ডকারখানা। যাই হোক এই রহস্য এখনো সম্পূর্ণ ভাবে মীমাংসিত হয়নি. 
Share:

BTemplates.com

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

জনপ্রিয় পোস্ট