A places of mysterious stories in Bengali language for mainly the people of Bangladesh and West Bengal

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮

ভারতবর্ষের সবথেকে রহস্যময় জায়গা ৫ টি জায়গা | 5 most mysterious places of India



ভাবতে পারেন একটা গ্রাম পুরো উজাড়, যেখানে কেও আর বসবাস করার ও সাহস পাইনি, বা আপনি হয়তু ঘুরতে গেছেন আর আপনার পেছনে আত্মা রা ফিসফিস কথা বলছে , আবার এমন একটা জায়গা যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় এর পর সরকার বাহাদুর পর্যন্ত যেতে না করেছে, আবার বেড়াতে গিয়া যখন আপনি আরাম করছে তখন দেখলেন স্বেচ্ছায় সয়ে সয়ে পাখিরা আত্ম হত্যা করছে, আর সবথেকে বোরো ব্যাপার, যে নদীকে আমরা জীবন দায়িনী বলে থাকি সেই মানুষ কে ডুবিয়া মারছে এর মধ্যে থাকা ভুতেরা বা নদীটি আর এমন ভাবে মারছে যে লাস ও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না. আসুন শুরু করি এমনি কিছু অদ্ভুদ জায়গার ব্যাপারে কথা বলতে,


কুলধারা , রাজস্থান - পরিত্যক্ত গ্রাম

প্রায় ২০০ ববহর আগে আনুমানিক ১৫০০ পল্লীভ ব্রাহ্মণ, রাতারাতি পুরো গ্রাম ছেড়ে চলে যায় এবং গ্রামটিকে অভিশাপ দিয়া যায় যে তাদের পর আর কেও এই গ্রামে বসবাস করতে পারবে না, কথিত আছে যে ওই এলাকার কোনো এক সুবেদার গ্রামের সুন্দরী মেয়ে কে জোর করে বিয়া করতে চেয়েছিলো , কিন্তু মেয়ে টি রাজি ছিল না, এবং সেই সুবেদার গ্রামের লোকজনদেরকে চাপ দিলে তারা রাতারাতি গ্রামটি কে অভিশাপ দিয়া গ্রাম ছেড়ে চলে যায়, আরো সোনা যায় যে সন্ধের পর ওই গ্রামের ঘরের মধ্যে অতৃপ্ত আত্মা দেড় আওয়াজ ও সোনা যায়,


গুজরাট এর দমাস সৈকত, যেখানে মৃতদের ফিসফিস সোনা যায়

দুমাস সৈকত , ভারতবর্ষের এমন একটি জায়গা যেখানের কথা শুনলে ঘরের লোম ও সোজা হয়ে যাবে আর রাত্রে এক এক ঘোড়ার সাহস ও কেও পাবে না, অনেকে বলেছেন যে তারা যখন ওই সৈকত এ বেড়াচ্ছিলেন তখন কেও যেন পেছনে ফিসফিস করে কথা বলছে, কিন্তু যখনি পেছনে ফিরেছেন সেখানে কাওকে দেখতে পাননি, ওই এলাকার লোকেদের মোতে ওই সমুদ্র সৈকত এ যারা হারিয়ে গেছেন তারা ফিসফিস করে কথা বলেন.


আসামের জাতিঙ্গা, যেখানে প্রচুর পরিমানে পাখিরা আত্মহত্যা করে,

আসামের জাতিঙ্গা বলে একটা জায়গা আছে যেখানে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এর মধ্যে সয়ে সয়ে পাখিরা আত্মহত্যা করে, অনেক বিগ্যানি এই বাপের তার কিনারা করতে চেয়েছেন কিন্তু এখনো কোনো সন্তোষ জনক উত্তর বেরকরতে পারেননি যে কেনো আসামের জাটিঙ্গাই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এর সময় যখন সূর্যাস্ত যায় শোয়ে শোয়ে পাখিরা আকাশ থেকে পরে মারা যায়.


দিল্লির খুনি যদি,

দিল্লি তে বয়ে চলা একটা নদী , যে মানুষ কে আকর্ষণ করে ডুবিয়া দেয়, এই নদীটিকে খুনি নদী বা ব্লডি রিভার ও বলা হয়ে থাকে, এটি ভারতের সবথেকে ভুতুড়ে জায়গার মধ্যে একটা , বলা হয়ে থাকে যে এই খুনি নদী ও তার মদ্ধ্যে থাকা আত্মা রা মানুষ কে ডুবিয়া মারে যার লাস ও পাওয়া যায় না, এমন একটা নদীতে কেও সাঁতার ও কাটতে সাহস পাবে না.


ভাংগড় ফোর্ট বা দুর্গ, রাজস্থান

রাজস্থানের এই দুর্গ টি , বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র হলেও, সরকারী আদেশ অনুসারে সূর্যাস্তের পরে এবং সূর্যোদয় আগে প্রবেশের জন্য অবৈধ।কারণ এখানে বেশ কিছু দুখ্হ জনক ঘটনা ঘটে গিয়াছিল, যারা এই দুর্গ তীর আশেপাশে রাতের বেলায় ঘোরা ফেরা করেছে তাদের মধ্যে কেও বলে যে মোটামুটি রাত ১২:৩০ মিনিটে দুর্গ তীর ভেতর হতে মহিলার চিৎকার সোনা যাচ্ছিলো, আবার কেও বলে তারা যখন ফায়ার আসছিলো তখন একজন মানুষ কে জানালার পশে লোহার গ্রিল নিয়ে বসে থাকতে দেখেছে, কথিত আছে রত্নাবতী ছিলেন এই দুর্গের রাজকুমারী, আর সিঙ্ঘিয়া নাম এক তান্ত্রিক ছিল, সে রানী রত্নাবতী এর সোন্দরটা তে পাগল হয়ে গিয়েআছিলো এবং তাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলে, ইটা জানতে পেরে রাজকুমারী, আগুন জালিয়া তান্ত্রিক কে মেরে ফেলেন কিন্তু মরবার আগে তান্ত্রিক সিঙ্ঘিয়া শহর টি কে মৃত্যুর অভিশাপ দেয় , এবং ইটা মনে করা হয় যে আজ তার আত্মা ওই দুর্গের মদ্ধ্যে রহস্যময় অদ্ভুতুড়ে সব কান্ড করছে,
Share:
লোকেশন: West Bengal, India

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

BTemplates.com

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

জনপ্রিয় পোস্ট