ভারতবর্ষ হলো প্রাচীন সংস্কৃতি তে ভরা , বহু সংস্কৃতি তে মোড়া একটি দেশ, এই মহা বিচিত্রময় দেশের মধ্যে অদ্ভুত এবং আকর্ষণীয় বহু জায়গা থাকবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই. আজকের ভিডিও তে আমরা এমনি ১০ টি অদ্ভুত জায়গার ব্যাপারে জন্য যা দেখে আপনি বিস্মিত হবেন. আসুন দেখে নি এরকমই ১০ টি অদ্ভুত জায়গা.
অন্ধ্র প্রদেশ এর লেপাক্ষীর ঝুলন্ত পিলার,
অন্ধ্রপ্রদেশ এর লেপাক্ষী তে অবস্থিত একটি শিব মন্দির যার অনেক কোটি পিলার এর মধ্যে, মাঝে একটি পিলার আছে যেটির নিচে দিয়া পাতলা কাপড় বা কাগজ গোলে যাবে , অর্থাৎ এটি মাটি থেকে আলগা ভাবে সিলিং এর থেকে ঝুলে রয়েছে , এখানে ৭০ টি পিলার এর মধ্যে এই পিলার বা থাম্বা টি জীবনের সমবৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে মণ হয়. অনেকে মনে করেন তৎকালীন কারিগরি শিল্পের মহা কৌশল এর ফলেই এইরকম একটি অবিস্সাসো একটি স্থাপত্য সম্ভব হয়েছে।
কর্ণাটক এর তালাকাদ এ অবস্থিত মিনি মরুভুমি,
কর্ণাটক এর তালাকাদ এ অবস্থিত একটি মরুভূমি যেটির আকার প্রায় একটি গ্রামের সমান। পার্শবর্তী এলাকার লোকেদের মতে আগে সেখানে ৩০ টি মন্দির এবং ঘর ছিল, যার মধ্যে এখন মাত্র ৫ টি মন্দির অবশিষ্ট আছে , যেগুলো শিব এর ৫ টি মুখের প্রতীক. কথিত আছে যে বিধবা শিব ভক্ত রা ওই গ্রামটিকে মরুভুমি তে পরিণত হবার অভিশাপ দেয় এবং গ্রামটি মরুভূমিতে পরিণত হয় এবং রহস্য জনক ভাবে কাবেরী যদিও সেখানে জলঘূর্ণবাদ এ পরিনিত হয়.
কেরেলার কদিনহি এর টুইন টাউন ,
কদিনহি যেটা হলো কেরল এর একটি শহর , এখানে আশ্চর্য রকম ভাবে টুইন্স বা যমজ দেখা যায় , এবং এ জন্যই এই জায়গার নাম হয়েছে টুইন টাউন। বিশেষজ্ঞ রা বলেছেন ওই জায়গার জলবায়ুর জন্যই এমন তা হয়ে থাকে , কিন্তু ২০০ জোড়া যমজ একই জায়গার একটি রহস্য জনক ব্যাপার।
রাজস্থানের করনি মাতার মন্দির.
করনি মাতার মন্দির ইঁদুর এর মন্দির নামেও পরিচিত, সাধারণত আমরা ইঁদুর কে বাড়ির ভিতরে বা বাইরেও প্রস্ত্তই দি না. কিন্তু এই মন্দির এ এতো পরিমান ইঁদুর আছে যে আপনি যদি এই মন্দিরে যান তো আপনাকে পা ঘষে ঘষে চলতে হবে , নতুবা কোনো না কোনো ইঁদুর আপনার পায়ের নিচে চলে আসতে পারে, এখানে ইঁদুর দের কে আদর করে খাবার ও খাওন হয় আর বিশ্বাস করা হয় যে যদি কোনো ইঁদুর আপনার পায়ের উপর দিয়া চলে যাই তাহলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়. আর আশ্চর্জনক ভাবে এখানে কোনো ইঁদুর ঘটিত রোগ এর খবর পাওয়া যায়না.
সানি শিংনাপুর, মহারাষ্ট্র ,
মহারাষ্ট্রের একটি শহর সানি শিংনাপুর, যেখানে কোনো বাড়িতে কোনো দরজা বা জানালা তে কপাট নেই, বড়োজোর পর্দার ব্যবহার করা হয়. বলা হয়ে থাকে যে সানিদেব এই ঘরগুলিকে রক্ষা করে. আর আশ্চর্যের বিষয় হলো এই গ্রামে চুরিও হয়না এবং বিশ্বাস করা হয় যে যদি কেও চুরি ডাকাতির মতো কোনো খারাপ কাজ করে তো সানিদেব তাদেরকে নিজে শাস্তি দেন.
লেঃ, লাদাখ এর চুম্বকীয় পাহাড়,
লাদাখ এর লেঃ অঞ্চলে অবস্থিত এই পাহাড় , চুম্বকীয় পাহাড় বা ম্যাগনেটিক হিল নাম পরিচিত. সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১১০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই পাহাড় খুবই সৌন্দর্য সমৃদ্ধ। এখানে চৌম্বকীয় ক্ষমতার জন্য গাড়িগুলি আপনাথেকেই উপরের দিকে উঠতে থাকে, অর্থাৎ কোনো একজন গাড়ি চালাতে পারবে যখন তার গাড়ির ইঞ্জিন টিও বন্ধ রয়েছে. অনেকে বলেথাকেন যে এটি শুধুমাত্র একটি আলোক দৃশ্য ভ্রম.
কঙ্কালের হ্রদ , উত্তরাখন্ড.
উত্তরাখন্ড এর মামুলি তে অবস্থিত এই হ্রদ কঙ্কালের হ্রদ নামেও পরিচিত, প্রত্যেক বছর যখন বরফ গোলে যায় , তখন এখানে প্রায় ৩০০ থেকে ৬০০ কঙ্কাল দেখা যায় এই রূপকুন্ড হ্রদ এ, এবং কার্বন ডায়েটিং এর মাধ্যমে জানা যাই যে এগুলি প্রায় ১৫ শতাব্দী খ্রিস্ট পূর্বাব্দের। বলা হয় যে কনৌজ এর রাজা, রানী, ও সিনা সামন্ত সমেত এই হ্রদে তুষার ধসের জন্য চাপা পরে মারা যান এবং এখানে তাদের এ অস্থি খুঁজে পাওয়া যাই.
ইদুক্কি কেরেলার, রক্ত বৃষ্টি.
কেরালার ইদুক্কি অঞ্চলে প্রথম বারের জন্য এই লাল রঙের বৃষ্টি দেখা যাই 25ই জুলাই , 2001 সালে তারপর টানা ২ মাস ধরে এই লাল রঙের বৃষ্টি প্রায় ই হয়েআচলেছিলো। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো যখন পার্শবর্তী লোকেরা এই বৃষ্টির জল জমা করে রেখেছিলো। কিছু পরে সেটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার জলে রূপান্তরিত হয়েছিল। অনেক গবেষণার পর বিজ্ঞানিক রা বলেছিলো যে এটি হলো বায়ু বাহিত পানা , যেটা ওই অঞ্চলে জন্মে থাকে.
সরীসৃপ এর শহর, শেতপাল, মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রর একটা শহর শেতপাল, যেখানে একটি গ্রাম সরীসৃপ এর শহর নামেও পরিচিত. এই গ্রামের আনাচে কানাচে বিষধর খরিস স্যাপ দেখা যাই, এই সেটাও খুব বোরো সংখ্যাই, সম্রা সাধারণত সি সাপগুলিকে দেখলেই খুব ভয় পেয়ে যাবো , কিন্তু এখানে মানুষ সাপকে ভয় তো করেই না শ্রদ্ধার সাথে এদের পুজো করে. বলা হয়ে থাকে এখানে সাপেরাও নাকিন বন্ধুত্ব পূর্ণ. এবং আশ্চর্যজনক ভাবে এই গ্রামে সঁপে কাটার জন্য কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়না.
পশ্চিমবঙ্গের ভুতুড়ে আলো আলেয়া,
সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের জলা জায়গা যেমন সুন্দরবন এলাকা তে এই ধরণের আলো দেখা যায়. অনেক জেলেরা বলেছেন যে তারা বিশেষ ধরণের রং বেরঙের এল দেখে বিভ্রান্ত হয়েছিল এবং পথ হারিয়েছিল. বলা হয় যে এই এল গুলি যেন তাদের অনুসরণ করে. যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে জলা বা স্যাঁতসেঁতে জায়গা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা বায়ুর অক্সসিজেন এর সংস্পর্শে আসা মাত্রই জলে উঠে. আর দিনের বেলায় এই আগুন দেখা যাই না কিন্তু রাত্রের ঘন অন্ধকারে এর এল বা আগুন দেখা যায়. এবং যা দেখে মানুষেরা ভয় পায়.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন